ডিএক্সএন গোজি বেরি ওল্ফবেরি নামে পরিচিত গোজি বেরিগুলি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন রূপে যেমন তাজা বেরি, শুকনো বেরি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ডিএক্সএন গোজি বেরি চীনের নিংজিয়া প্রদেশের শুকনো বেরি। তারা কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ এবং বর্ণহীন জৈব গোজি বেরি। বেরি হ'ল: একটি ছোট, ফুরফুরে এবং প্রায়শই ভোজ্য ফল । সাধারণত, বেরিগুলি সরস, গোলাকৃতির, উজ্জ্বল বর্ণের, মিষ্টি, টক বা টার্টযুক্ত এবং কোনও পাথর বা পিট নেই, যদিও অনেকগুলি পিপস বা বীজ উপস্থিত থাকতে পারে। [1] সাধারণ উদাহরণগুলি হ'ল স্ট্রবেরি , রাস্পবেরি , ব্লুবেরি , ব্ল্যাকবেরি , লাল কারেন্টস , সাদা কারেন্ট এবং ব্ল্যাকক্র্যান্ট ।
[২] ব্রিটেনে, নরম ফল এই জাতীয় ফলের জন্য উদ্যানগত শব্দ। বেরি বিশ্বব্যাপী খাওয়া হয় এবং প্রায়শই জাম , সংরক্ষণ , কেক বা পাইতে ব্যবহৃত হয় । কিছু বেরি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বারি গাছের চাষ বা বর্ধমান ধরণের বেরি জাতীয় জাতের মতো দেশ-দেশে বিভিন্ন রকম হয়। কিছু বেরি যেমন রাস্পবেরি এবং স্ট্রবেরি কয়েকশ বছর ধরে বংশবৃদ্ধি করে আসছে এবং তাদের বুনো অংশগুলির থেকে পৃথক, অন্যদিকে যেমন লিংগনবেরি এবং ক্লাউডবেরি , বনে প্রায় একচেটিয়াভাবে বেড়ে ওঠে।
উপকরণ: গোজি বেরি ( লসিয়াম বার্বাকাম )
প্যাকেজিং আকার: 350g
গোজি বেরির নানাবিধ উপকারিতাঃ
ত্বকের বার্ধক্য নাশকঃ যারা রূপচর্চা করেও বয়স ঢাকতে পারছেন না বা প্রসাধন এর আশ্রয় নিয়েও ব্যর্থ তাদের কাছে আশার আলো হতে পারে গোজিবেরি। এটি আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল অবস্থা উপহার দেয়। DNA সংশ্লেষ করে বয়সের ছাপ পড়তে দেয়না। এর মধ্যে থাকা এন্টি এজিং প্রপার্টিজ ত্বককে ইতিবাচক রূপ দেয়। এটি ফ্রি রেডিকেল মুক্ত করে ও ত্বকের কোলাজেন ভাঙতে দেয় না। এমনকি এটাও প্রমাণিত যে এটি ত্বকের ক্যানসার এর ঝুঁকি অব্দি হ্রাস করে।
উদ্বেগ কমায়ঃ লকডাউন পরবর্তী জীবনে ডিপ্রেশন ও হাইপারটেনশন আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়েছে। বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। মানসিক অবসাদ, কাজের ক্লান্তি বা হতাশার প্রভাবগুলি বিরুদ্ধে এই বেরির উপকারী উপাদান কাজ করে থাকে। এটি একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে উৎফুল্লতা বাড়ায়, তেমনি অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতা ধ্বংস করে মনস্তাত্ত্বিক আনন্দ প্রদান করে।
চোখের এনার্জি বুস্টারঃ চোখের মণি, চোখে হারানো ইত্যাদি সোহাগ করে আমরা বলি আমাদের কাছে চোখের গুরুত্ব কতখানি তা মেলে ধরার জন্যই। বেরিতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্টস ইউভি রশ্মি যা সূর্য থেকে আসে, সেটার মোকাবিলা করে। পাশাপাশি চোখে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। টানা ৯০দিন গোজিবেরি জুস পান করার ফলে চোখের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। রেটিনা থেকে গ্যাংলিয়ন সেল নষ্ট করতেও এটি এগিয়ে এসেছে যা চোখের গ্লুকোমা রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এর পর যে আপনার নয়নে হাজার ওয়াট এর বাতির ছটা বিকিরিত হবে সেটা বলাই বাহুল্য।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ভিটামিন সি, ক্যারটিনয়েড এন্টি ক্যান্সার গতিবিধির জন্য প্রখ্যাত। টেস্টটিউব স্টাডিতে দেখা গেছে যে, গোজিবেরি ক্যানসার সেল এর প্রসারিত ভাবকে সঙ্কুচিতই কেবল করেনা বরং তাকে নির্মূল করতেও সক্ষম। এই ক্ষমতাকে সামনে রেখেই ক্যান্সার সরানোর জন্য ইমুনো থেরাপিতে একে ব্যবহার করা হচ্ছে। শরীরে হওয়া ক্যানসার টিউমার এর বৃদ্ধির গতি শ্লথ করতে দেয়। ক্যান্সার এর সাইটোকাইনিন জনিত প্রদাহকে প্রশমিত করার পর ক্ষতিকারক পদার্থ বাইরে নিষ্কাশিত করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ গবেষণায় এই বেরির একটি অলৌকিক ক্ষমতার কথা উঠে এসেছে তা হলো প্রতিদিন অন্তত ২০গ্রাম পরিমাণ গোজিবেরি একমাস যাবৎ গ্রহণ করার পর দেহে ট্রাইগ্লিসারওয়েড এর পরিমাণ স্বাভাবিক হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে হার্ট হয়েছে চাঙ্গা। পলিস্যাকারাইড থাকার জন্য এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে তো রাখেই রাখে তা ছাড়াও পাকস্থলীর সক্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে। হজমশক্তি আগের চেয়ে উন্নত করে।
ওজন কমায়ঃ ওজন কমায় লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এ স্থান পাওয়ায় এটি সহজেই ব্লাড সুগার কন্ট্রোল করে খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। সমগ্র শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এটি যথেষ্ট উপযোগী হয়। এর মধ্যে থাকা ফাইবার মেটাবলিক রেট উন্নত করে ক্যালোরি বার্ন করাতে বেশি বেশি হেল্পফুল। রক্তচলাচল উন্নত করে এনার্জি নিয়ে আসে, ফলে ওজন কমতে দেরি লাগেনা। তাই যদি আপনার টার্গেট হয় জিরো ফিগার সাথে এটিকে সঙ্গী করতেই পারেন।
শর্করার ভারসাম্যঃ টাইপ টু ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে গোজিবেরির পারফরম্যান্স সত্যি নজরকাড়া রয়েছে আপাতত। রক্তে HDL এর মাত্রা বাড়িয়ে এটি ইনসুলিন রেগুলেট করে। ইনসুলিন সেনসিটিভিটি কমায় এবং মাংসপেশি থেকে গ্লুকোজ তৈরির যে গ্লাইকোজেনলাইসিস প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রুগীদের জন্য এটি সুখবর নিয়ে আসবে সন্দেহ নেই। তারা ইচ্ছে মতো এটি গ্রহণ করে দেখতে পারেন। মিষ্টির বিকল্প হিসেবে মন্দ লাগবে না।
ফুসফুসের স্বাস্থ্যঃ বর্তমান প্যান্ডেমিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ফুসফুস এর প্রেক্ষিতে এই বেরির কার্যকারিতা সত্যি চোখে পড়ার মতোই। শ্বাসনালীর সজীবতা ও তার কাজকে বহুগুণে ত্বরান্বিত করতে এটি অনবদ্য। ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের রোগগুলোর নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এটি সম্ভাব্যরূপে বৈধ ঔষধি বলে গৃহীত হচ্ছে। ফুসফুস এর রোগের ক্ষেত্রে এটি তার সংবেদনশীলতা কমাতে সাহায্য করে।
অনিদ্রা দূর করেঃ মনের নেতিবাচক আবেগ নিউট্রিলাইজ করতে এটির অবদান এর কথা আগেই বলেছি।কিন্তু এবার বলবো এর নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার সরানোর কথা। ব্রেনের নানা ম্যাল ফাংশন ঠিক করতে এটি অগ্রণী। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ও পালস রেট উন্নত করে মনে এক প্রশান্তির অনুভূতি নিয়ে আসে ফলে রাতে ঘুম হয় গাঢ়। ফলে মন সংযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজে লাগে। এটি লিম্ফোসাইট কণিকা তৈরি করতেও ওস্তাদ যেটা ফ্যাগসাইটেসিস পদ্ধতিতে জীবাণু নষ্ট করে শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়।