DXN GL খাওয়ার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করা এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানো। World Health Organization এর মতে সারা বিশ্বে শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ অ্যানিমিয়া অথবা রক্তস্বল্পতা সমস্যায় ভুগে থাকেন। আর এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে আয়রনের অভাবের কারণে। রক্ত কোষে আয়রন সমৃদ্ধ প্রোটিন হল হিমোগ্লোবিন। এর প্রধান কাজ হল ফুসফুস থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন পরিবাহিত করা। সাধারণত ১৪-১৮ মিলিগ্রাম একজন পুরুষের এবং ১২-১৬ মিলিগ্রাম একজন নারীর শরীরে হিমোগ্লোবিন থাকা উচিত। মাথা ঘুরানো, দুর্বল লাগা, ক্লান্তি লাগা, খাদ্যে অরুচি, শ্বাস কষ্ট, হার্ট বিট বৃদ্ধি ইত্যাদি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ। DXN (GL) খাওয়ার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করা যায়। আসুন তাহলে আজ থেকে DXN (GL) খাওয়া শুরু করি।
DXN GL এর উপকারিতা:
DXN GL সম্পূণ প্রাকৃতিক মাশরুম থেকে তৈরি করা হয়। গ্যানোডার্মা লুসিডামকে “ভেষজ উদ্ভিদের রাজা” বলা হয়। ইহা জীবনের পরশ মনি। শত শত বৎসর যাবৎ প্রাচ্যের লোকজন এর ঔষধি প্রভাবের জন্য ব্যবহার করে আসছে। গ্যানোর্ডামার থেরাপেটিক এবং পুষ্টিগুন খুবই ব্যাপক।
★প্রথমতো মাশরুম শরীরের জমাকৃত কোলস্টেরল মুক্ত করে।
★ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, টিউমার, মেদভূড়ি, জন্ডিস, রক্তস্বল্পতা, ডেঙ্গুজ্বর প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধক ও নিরাময় করে।
★ মাশরুম ফ্রাই, মাশরুম মাংস, মাশরুম মাছ, মাশরুম সবজি, মাশরুম স্যুপ, মাশরুম নডুলস, মাশরুম ওমলেট, মাশরুম ভর্তাসহ বিভিন্ন ধরনের ফার্স্টফুট মাশরুমের জনপ্রিয় সু-স্বাদু খাবার তৈরি করা যায়।
★ মাশরুমে আমিষ আছে ২৫-৩০%, চর্বি ৫-৬%, ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ ৫৭-৬০%, শকর্রা ৪-৬%।
★ পুষ্টিগুণের পাশাপাশি মাশরুমের রয়েছে ঔষধিগুণও। মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল, এমন সমন্বয় আছে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুরা নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।
★ মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আঁশ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।
★ মাশরুমের আছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাস্টটিন এবং এনাটাডেনিন। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে।
★ মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফরফরাস ও ভিটামিন-ডি, যা শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত উপকারি। এতে আরও রয়েছে ফলিক এসিড ও লৌহ তাই মাশরুম খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। এছাড়া লিংকজাই-৮ পদার্থ থাকায় হেপাটাইটিস-বি ও জন্ডিসের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।